Saturday, March 16, 2013

মহাবিশ্ব ও স্ট্রিং থিউরি – ২য় পর্ব

আইনিস্টাইন প্রমান করেন মহাবিশ্বে মহাকষ বল কাজ করে। তার উদ্দেশ্য ছিল এমন একটি সমীকরন দারা করানো যেটির মাধ্যমে মহাবিশ্বের প্রতিটি জিনিস ব্যাখা করা যাবে।
৮ম শতকের দিকে তড়িৎ বল এবং চৌম্বক বলকে দুটি আলাদা বল হিসাবে ধারনা করা হতো। কিন্তু ম্যাক্সয়েল প্রথম তড়িৎ বল এবং চৌম্বক বলকে ৪টি সমীকরনের মাধ্যমে প্রকাশ করেন। একত্রিত ভাবে তড়িৎ-চৌম্বক বল

16fb12a4460501093396a5b323cb781d.png 57619c6a86c79e56ac806faf21502c90.png 9cab6787646062d6e658cd1e83ad468f.png 339524641f9792ca409073aa67474224.png
তড়িৎ বল এবং চৌম্বক বল মুলত একটি বলে প্রকাশ করা যায় তা আমরা বুঝতে পারি সাধারন একটি ঘটনা বজ্রপাত থেকে, বজ্রপাতের সময় কম্পাসের অদ্ভুত আচরণ। বজ্রপাতের সময় কম্পাসের কাটা উল্ট পাল্টা ঘুরতে থাকে। কারন কম্পাসের কাটা বজ্রপাত থেকে সৃষ্ট চৌম্বক ক্ষেত্রের কারনে পৃথিবীর সাধারন চৌম্বক ক্ষেত্রের আকষনের প্রভাব মুক্ত হয়।
এটি ছিল উনিফিকেসন বা একটি সাধারন সমীকরন তৈরির একটি বড় সাফল্য। কিন্তু মহাকর্ষ এবং তড়িৎ-চৌম্বক বলকে একটি সমীকরনে আনাছিল অসম্ভব ব্যাপার। কারন তড়িৎ-চৌম্বক বল, মহাকর্ষ বল থেকে বিলিয়ন গুন বড়। মহাকর্ষ বলের কারনে পৃথিবী সূযের চারদিকে ঘুরে। কিন্তু আমারা পৃথিবীর উপর দারিয়ে আছি কারন পৃথিবীর মহাকর্ষ বল আমাদের পৃথিবীর কেন্দ্রের দিকে টেনে নিতে পারে না। আমরা মাটির উপর দারিয়ে থাকি। মাটি এবং আমাদের মধ্যকার পরমানুর তড়িৎ-চৌম্বক বল মহাকর্ষ বল থেকে শক্তিশালী। মহাকর্ষ বল, পরমানুর তড়িৎ-চৌম্বক বলকে আতিক্রম করতে পারে না। অর্থাত পারমানবিক পর্যায়ে মহাকর্ষ বল খুবি নগ্ন্য। এতে মহাকর্ষ বল ও তড়িৎ-চৌম্বক বলকে একত্রিত করা কঠিন হয়ে পরে।

22474-004-5cd8f015.gif
১৯২০ সালের দিকে নিলস বোর ও তার সদস্যরা আবিস্কার করেন পরমানু সবচেয়ে ছোট পদার্থ নয়। পরমানু তৈরি ইলেক্ট্রন, প্রোটন এবং নিঊট্রনের সম্নয়ে। আর পুরাতন সব থিউরি ব্যার্থ হয় এসবের ব্যাখা দিতে। এসব নতুন কণিকার ব্যাখা দিতে বৈজ্ঞানিকরা দার করান কোয়ান্টাম ম্যাকানিক্স। কোয়ান্টাম ম্যাকানিক্স মুলত আমাদের একটি ধারনা দেয়, কিভাবে পরমানুর মধ্যকার কনিকাগুল কাজ করে। কোয়ান্টাম ম্যাকানিক্স শুধু সম্ভাবনার পরিমাপ করে। যেমন পরমানুতে একটি ইলেক্ট্রন কোথায় অবস্থান করতে পারে তার সম্ভাব্য অবস্থান কোয়ান্টাম ম্যাকানিক্স নির্ণয় করতে পারে। পদার্থের গঠন, আচরন ও গুন ব্যাখা করা সম্ভব কোয়ান্টাম ম্যাকানিক্সের মাধ্যমে।
১৯৩০ সালের দিকে কোয়ান্টাম ম্যাকানিক্স জনকপ্রিয়তা লাভ করে এবং নানা পরীক্ষা শেষে বেরিয়ে আসে দুইটি নতুন বল। শক্তিশালী নিউক্লিয়ার বল এবং দূর্বল নিউক্লিয়ার বল। শক্তিশালী নিউক্লিয়ার বল প্রোটন ও নিউট্রনকে একত্রে বেধে রাখে নিউক্লিয়াসে। আর নিউট্রন যখন প্রোটনে পরিনত হয় তখন তেজস্ক্রিয় শক্তি হিসাবে দূর্বল নিউক্লিয়ার বলের প্রকাশ ঘটে। অটম বোম হচ্ছে শক্তিশালী নিউক্লিয়ার বলের প্রমান। আর তেজস্ক্রিয় শক্তি যা অটম বোম বিস্ফরনের পর মাটিতে বা ঐ স্থানে পাওয়া যায় তা দূর্বল নিউক্লিয়ার বল। কিন্তু কোয়ান্টাম ম্যাকানিক্সে মহাকর্ষের কোন স্থান নেই।
এখন বিষয় হলো কোয়ান্টাম ম্যাকানিক্স ও জেনারেল থিউরি অফ রিলিভিটি দুইটি এমন থিউরি যেটি মহাবিশ্বের সব জায়গায় কাজ করে। সে ক্ষেত্রে তারা একি হবার কথা, কিন্তু তাদের একত্রিত করা অসম্ভব হয়ে দারায়। আর আইনিস্টাইনের মৃতুর পর সেটি অন্ধকারে চলে যায়।

কার্ল সোয়ার্ডসিল্ড জেনারেল থিউরি অফ রিলিভিটি থেকে একটি নতুন জিনিস আবিস্কার করেন। যদি কোন বস্তুর ভর অনেক বেশি হয় এবং আয়তন অনেক ক্ষুদ্র হয় তবে জেনারেল থিউরি অফ রিলিভিটি অনুসারে ঐ স্থানে মহাকর্ষ বল এত বেশি হবে যার কারনে আলোও বের হয়ে আসতে পারবে না সেখান থেকে। পরবর্তীতে যার নাম দেওয়া হয় ব্লেক হোল।
750px-accretion_disk.jpg
এখন বিষয় হলো ব্ল্যাক হোলের জন্য কোন থিউরি ব্যবহার করতে হবে। কোয়ান্টাম ম্যাকানিক্স যে হেতু এটি আকারে ছোট, না জেনারেল থিউরি অফ রিলিভিটি কারন এর ভর অনেক বেশি। দুইটি একসাথে ব্যবহার করলে দারায়না কোন অর্থ। সমধান হয়ত আছে স্ট্রিং থিউরিতে।

(চলবে)

0 মন্তব্য(গুলি):

Post a Comment

Facebook Twitter Delicious Digg Stumbleupon Favorites More

 
Design by Free WordPress Themes | Bloggerized by Lasantha - Premium Blogger Themes | Bluehost Review