Sunday, February 16, 2020

মহাবিশ্বের সৃষ্টি

মহাবিশ্বের সৃষ্টি

একটি বিন্দু থেকে সব কিছুর সৃষ্টি। এখন থেকে ১৩·৭ বিলিয়ন বছর আগে মহাবিশ্ব ছিল তার জন্মলগ্নে। বর্তমান পদার্থ বিজ্ঞানের বৈজ্ঞানিক ও গণিতকদের অক্লান্ত পরিশ্রমে আমরা মহাবিশ্বেও ১০-৪৩ সেকেন্ড আগ পর্যন্ত হিসেব করা সম্ভব হয়েছে। ধারনা করা হয় তখন মহাবিশ্বের আয়তন ছিল একটি পরমানুর থেকেও ছোট এবং তাপমাত্রা ছিল কয়েক বিলিয়ন ডিগ্রি সেন্ট্রিগেড। এর ঠিক ১০-১৮ সেকেন্ডে সেই ছোট বিন্দুটি হারিয়ে ফেলে তার মহাকর্ষন শক্তি এবং প্রসারিত হতে থাকে অসীম গতিতে চারদিকে। এই প্রসারনকে বলা হয় বিগ বেং। বর্তমান জানা তথ্যেও উপর ভিতে করে মহাবিশ্বের বয়স দাড়ায় ১৩·৭ বিলিয়ন বছর এবং আমাদের দৃশ্যমান মহাবিশ্বের ব্যাস ১৮৫ বিলিয়ন আলোক বর্ষ।
bigbang_eras.jpg
কিন্তু পরমানুর থেকে ক্ষুদ্রতম এই আদি পরমানুর সৃষ্টি কোথা থেকে হলো তার সঠিক উত্তর এখনও মেলেনি। কোয়ান্টাম পদার্থ বিজ্ঞানের মাধ্যমে এর সামান্য ব্যাখ্যা মিলে। স্ট্রিং থিউরি দিয়ে একটি কাল্পনিক ব্যাখা দাড় করা যায় মহাবিশ্বের সৃষ্টির।
bang.jpg
মহাবিশ্বের প্রতিটি পরমানুর ক্ষুদ্রতম অংশ হচ্ছে স্ট্রিং। পরমানু গঠিত ইলেক্ট্রন, প্রোটন, নিউট্রন এবং অন্যান্য কনিকা দিয়ে। আর প্রেটন, নিউট্রন ইত্যাদি তৈরি হলো কোয়ার্ক দিয়ে। আর কোয়ার্ক তৈরি স্ট্রিং দিয়ে। যার গঠন ও গতির উপর নির্ভও করে বিভিন্ন কোয়ার্কের বৈশিষ্ট্য।
060316_w_illo_02.jpg
স্ট্রিং হচ্ছে মূলত্ব কম্পনরত সুতার মত একটি অংশ বা বৃত্তাকার সুতা যা অসীম পর্যন্ত বিস্তৃত হবার ক্ষমতা রাখে। আর অসীম পর্যন্ত বিস্তৃত হবার পর একটি স্ট্রিং অপর স্ট্রিং এর সাথে যদি ঘঁটনা ক্রমে ধাক্কাখায়, তাহলে সৃষ্টি হতে পারে একটি মহাবিশ্বের, ধারনা করা হয় এরকম স্ট্রিং এর পারস্পরিক সংঘর্ষে সৃষ্টি হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের মাহাবিশ্ব, যার একটি হলো আমাদের মহাবিশ্ব।

Tuesday, May 12, 2015

এবার ম্যাক্রো ছবি তুলুন মোবাইল দিয়েই। DSLR নাই তো কি হইসে!

যেসব ফটোগ্রাফার বা ফটোগ্রাফি প্রিয় পাঠক এই লেখাটি পড়ছেন, তারা সবাই কমবেশি ম্যাক্রো সম্পর্কে জানেন। আমি নিজেও যদিও বিশেষ কিছু জানি না। নতুনদের জন্য একটু ডিটেইলস বলছি। নেট ঘাটাঘাটি করে সহজ ভাষায় যাটা পেলাম সেটা হলো,

ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি খুবই কাছথেকে নেয়া ডিটেইল এর ছবি। ম্যাক্রো ছবির সাবজেক্ট অনেককিছুই হতে পারে..পোকামাকড় থেকে শুরু করে একটা জড়বস্তুর কোন একটা অংশের ক্লোজআপ।

কয়েকটা উদাহরন দেইঃ



আশা করি এখন বোঝা গেছে।

যাই হোক, এবার আসল কথায় আসা যাক। এই ধরনের আকর্ষনীয় ছবি DSLR ক্যামেরা ছাড়াই তোলার একটি সহজ পদ্ধততি শেয়ার করার জন্যই এই পোস্ট।
শুরু করা যাক।


যা যা লাগবেঃ
  • একটি ক্যামেরা মোবাইল!  :-)
  • একটা খেলনা লেজার লাইট। (যেটা দিয়ে ছোট ছোট এমনকি বড় বড় খোকারা খেলে থাকেন) দোকান ভেদে ৫০-১০০ টাকা দাম। এরকম।
  • একটা হেয়ার ক্লিপ আর সামান্য টেপ হলে ভালো হয়।

যা যা করতে হবেঃ

লেজার লাইটের মাথা (যে প্রান্ত দিয়ে লেজার বের হয়) খুব সাবধানে খুলে ফেলুন। সফল ভাবে খুলতে পারলে নিচের ছবির মত অংশগুলো পাবেন।

প্রতিটা লেজারে একটি করে লেন্স পাবেন। লেন্স গুলো দেখতে এরকম।

এবার লেন্সটি নিচের ছবির মত চুলের ক্লিপের সাথে আটকে নিন।

ঠিক মোবাইলের ক্যামেরার উপর লেন্সটি বসিয়ে ক্লিপটি টেপ দিয়ে ব্যাকপার্টের উপর বসিয়ে নিন। ব্যাস। হয়ে গেল ম্যাক্রো লেন্স।


এখন ইচ্ছেমত যেকোন বস্তুর কাছে মোবাইল নিয়ে গিয়ে তুলুন ম্যাক্রো।

বিঃদ্রঃ অবশ্যই মোবাইলের ক্যামেরা যাতে বস্তুর একদম কাছে থাকে সেদিকে লখ্য রাখবেন। লেজারের লেন্সটির ক্ষমতা অনেক তাই ফোকাস দুরত্ব অনেক কম। যথেষ্ট কাছে নিয়ে না গেলে out of focus হয়ে যাবে।
আপনি চাইলে মোবাইলের জন্য লেন্স কিনেও ব্যাবহার করতে পারেন। বাহিরে থেকে আনাতে হবে। দাম প্রায় ১০-৫০$ এর মদ্ধে আছে। অনেকটা এরকম-

ইচ্ছে থাকলে কিনে দেখতে পারেন। আর না থাকলে আমার মতই বানিয়ে নিন।  8-)   8-)   :lol:

 আমার তোলা  ছবি



আরো মজা দেখতে আপনার শরীরের যেকোন অংশের ত্বকের কাছে ক্যামেরাটি ফোকাস করুন। তারপর দেখুন। আপনার সুন্দর ত্বক আসলে কতটা রুক্ষ!

Tuesday, February 17, 2015

ঘুমের এক অজানা রহস্যময় জগত সম্পর্কে জানুন!

সবাইকে স্বাগতম। কেমন আছেন আপনারা? আজকে সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি আরেকটি সায়েন্স ধর্মী আর্টিকেলে। এই আর্টিকেল বিষয় আমাদের চিরচেনা ঘুম সম্পর্কে। জানুন এখানে ঘুমের রহস্যময় জগত সম্পর্কে। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
বিজ্ঞান ও ঘুম
ঘুম চিরচেনা শান্তির পরশ। সেই জন্ম থেকেই ঘুমের সাথে আমরা পরিচিত। কিন্তু এই ঘুমের মধ্যেই আছে কিছু অজানা রহস্য। আছে অতি পরিচিত ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা।যেমন, ধরুন আপনি আজ রাতে ঘুমাতে গেলেন। বাতি নিভালেন নরম বিছানায় গা এলিয়ে দিলেন, অল্প অল্প তন্দ্রা লেগে এলো হঠাৎ মনে হলো আপনি অনেক উচু থেকে নীচে পরে যাচ্ছেন। চমকে উঠলেন আপনি।
আবার, হয়তো একদিন আপনি আরামেই ঘুমিয়ে আছেন। হঠাৎ ঘুমটা একটু পাতলা হতে লাগলো আর আপনি দেখলেন আপনি নড়াচড়া করতে পারছেন না। মনে হচ্ছে কেউ আপনাকে চেপে ধরে আছে। আপনি প্রান পনে চিৎকার করতে চাইছেন কিন্তু গলা দিয়ে কোন স্বর বের হচ্ছে না। একটা আনগুলও নড়াতে পারছেন না আপনি। কিছুক্ষন পর ঘেমে নেয়ে উঠলেন আপনি । স্বাভাবিক হয়ে আসলো সবকিছু।উপরের ঘটনা দুটি জীবনে ঘটেনি এমন মানুষ পাওয়া বিরল। তাছাড়াও ঘুমের মধ্যে কথা বলা, নাক ডাকা বা ঘুমের মধ্যে হাটা কোনটাই বিচিত্র নয়। এবার আসুন দেখে নেই কেন এমন হয়? কি বা তার সাম্ভাব্য প্রতিকার।

প্রথম ঘটনা, ঘুমের মধ্যে হঠাৎ মনে হওয়া যে উপর থেকে পরে যাচ্ছি।একে বলে Hypnic Jerk, আমরা যখন ঘুমিয়ে পরি আমাদের সারাশরীর আস্তে আস্তে নিস্তেজ হয়ে আসে মাংসপেশী গুলো শিথিল হয়ে আসে। কিন্তু যদি সে সময়ের মধ্যে আমাদের মষ্তিষ্ক ততটুকু বুঝতে না পারে তবে মষ্তিষ্ক একে উপর থেকে শরীর পরে যাচ্ছে এটা বলে ভুল করে সেক্ষেত্রে সে শরীর কে সে সময়ের জন্য প্রস্তুত করতে হাত-পা শক্ত করে ফেলে সেই আসন্ন বিপদ মোকাবেলা করার জন্য আর তাই আমরা ঝাকি দিয়ে হঠাৎ ঘুম থেকে জেগে উঠি। এটা আসলে সে সময় হয় যদি আমরা অনেকক্ষন ধরে ব্রেন কে রেস্ট না দেই একটানা পড়াশুনা বা অফিসের কাজ বা কোন গবেষনা এসব চিন্তা করতে করতে যদি ঘুমিয়ে পরি এবং আমাদের ঘুমের মধ্যেও যদি এসব চিন্তা চলতে থাকে তবে তখনই এ ঘটনা ঘটে।
২য় ঘটনা, বোবায় ধরার ঘটনার অনেকে কুসংস্কারের বশে বোবা ভুত ধরা বলে আসল নাম হচ্ছে Sleep Paralysis or Hypnagogic Paralysis, এ ক্ষেত্রে ব্যাপারটা একটু জটিল আর তা হচ্ছে আমাদের ঘুমের ২ টা পর্যায় আছেঃ১) REM (Rapid Eye movement)
২) NON REM ( Non Rapid Eye Movement)
ঘুমের মধ্যে এ দুটি চক্র পর্যার ক্রমে আসে আমরা যদি কোন ভাবে এর মাঝের সময়ে জেগে যাই আমরা হাত পা নাড়তে পারিনা। কথা বলতে পারিনা কারন আমাদের এই জেগে থাকা সম্পর্কে মষ্তিষ্ক অবগত থাকেনা। এ ক্ষেত্রে কয়েক সেকেন্ড থেকে কয়েক মিনিট পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। আমরা জেগে আছি জানতে পারলে আবার আমরা হাত পা স্বাভাবিক ভাবে নাড়তে পারি এবং জেগে উঠি এসময় কোন কিছু দেখা বা গন্ধ পাওয়া অস্বাভাবিক নয় কারন মষ্তিষ্ক তখন সপ্নের মত দৃশ্য তৈরী করতে পারে।
                                                       আরও পড়ুনঃ ১০ হাজার টাকার মধ্যে অসাধারণ কিছু অ্যান্ড্রয়েড ফোন!
৩য় ঘটনা, ঘুমের ঘোরে হাটা বা Sleep Walking, ঘুমের ঘোরে হাটা ঘুমের NON REM পর্যায়ের খেলা। ঘুমের মধ্যে উঠে বসা হেটে বেড়ানো বাড়ীর বাহিরে চলে যাওয়া বা অনেক দূর পর্যন্ত ড্রাইভ করারও নজির আছে। বলা হয় ঘুমে হাটা ব্যাক্তিকে না জাগাতে কিন্তু এটা স্রেফ কুসংস্কার বরং যত তাড়াতাড়ি জাগানো যায় ততই ভালো।৪র্থ ঘটনা, নাক ডাকা বা Snoring, নাক ডাকা অল্প বা হাল্কা কম বেশী সবারই হয়। কিন্তু কেন? ঘুমানোর সময় যখন আমাদের পেশী সমূহ শিথিল হয়ে আসে তখন আমাদের জিহ্বা বা গলবিলের পিছনের মাংসপেশীও শিথিল হয়ে আসে সে সময় তা আমাদের শ্বাসনালীর পথরোধ করে আর তাই নাক ডাকে। অল্প হলে ঠিকাছে কিন্তু যদি বেশী হয় এবং সে ব্যাক্তি ঘুমানোর পরও মনে করে যে ঘুম ভালো ভাবে হয়নি তবে সেটা ভয়াবহ স্লিপ এপনিয়া রোগের পূর্ব লক্ষন। এ রোগে সাধারনত মানুষ ঘুম থেকে দমবন্ধ হয়ে আসছে এই অভিজ্গতা নিয়ে হরবরিয়ে জেগে উঠে।এক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিৎ।
যাহোক অনেক হলো এবার তবে শুভরত্রি। সবার সুন্দর পরিপূর্ন ঘুম হোক।

আবার রবি ফ্রী ইন্টারনেট এন্ড্রইড এর জন্য ১০০% কারযকর

Hey Guysআপনারা সবাই কেমন আছেন??
ভালো নেই মনে হচ্ছে?? হম ভাল কি করে থাকবেন ফ্রী নেট যে নাই। তাই ভাবলাম আপনাদেরকে আমার ফ্রী নেট এর ট্রিক টা শেয়ার করি।
একাই ফ্রী নেট চালাতে মজা পাচ্ছি না।
আপ্নারা এর আগে অনেকে হয়তো Your-freedom VPN দিয়ে নেট চালাইছেন।
যারা চালাইছেন তারা হয়তো এর সমস্যা ভাল ভাবেই বুঝতে পেরসেন। এটি দিয়ে আনলিমিটেড নেট ব্যবহার করা জায় না।
তো আজ আমি আপনাদের যে ট্রিক টি দিব তা দিয়ে আপনার আনলিমিটেড নেট চালাইতে পারবেন কোন প্রকার package Purchase ছাড়া এর জন্য আপনাকে Lucky patcher use করতে হবে না :p . কারন Lucky patcher just purchase show করে Originali purchase করে না।
তো চলুন কাজ শুরু করা যাক...
প্রথমে এখান থেকে এই ২ টি ফাইল ডাউনলোড করে নিন ১টি হইলো your-freedom আর একটি হইল Titanium backup pro..
your-freedom ডাউনলোড করুন এখান থেকে
Titanium backup ডাউনলোড করুন এখান থেকে
okay ডাউনলোড এর পর্ব শেষ এবার আসল কাজ করব আমরা।
এবার ফাইল দুটি আনজিপ করে ইন্সটল দিন।
এবার your-freedom.com এ গিয়ে কয়েকটা account খুলুন
এরপর install করা your-freedom app টি ওপেন করুন। তারপর config এ প্রেস করুন তারপর acount information এ যান এখানে ২ টি বক্স পাবেন সেখানে আপনার acount এর username এবং password দিন
ss
তারপর অইখান থেকে বের হয়ে server connection এ যান এখানে connection mode টি DNS করে দিন।
sss
তারপর একেবারে vpn home screen এ আসুন এবার নিচে start connection এ প্রেস করুন।
connect হয়ে হগেলে cunfigure এ click করে shop এ ঢুকুন তারপর দেখুন সেখানে লিখা আছে Free সেখানে প্রেস করুন
ssss
এবার আপনি ১ ঘন্টা হেভি স্পীড পাবেন ১ ঘন্টা পর স্পীড কমে গেলে আবার shop এ ঢুকে free তে ক্লিক করুন দেখুন আবার স্পীড বেড়ে গিয়েছে। এভাবে আপনি ৩ বার free নিতে পারবেন তারপর আর free হবে না নতুন account দিয়েও হবে না । free তে ক্লিক করলেই Your upgrade has been refused দেখাবে।।
sa
এখানেই আমার ট্রিক শুরু হইল।
এবার যখন আর free granted হবে না তখন your-freedom disconect করে দিন তারপর এপট থেকে exit করুন অর্থাৎ বেরিয়ে আসুন
এবার Titanium Backup এপটি open করুন তারপর উপরে backup/restor নামের tab এ ক্লিক করুন দেখুন অনেক গুলো এপ এর লিস্ট এসেছে
এবার সেখানে Your-freedom এপ টি খুজে বের করুন তারপর Your-freedom এ click করুন
asda
তারপর দেখুন কয়েকটা অপশন এসেছে এখন প্রথমে wipe-data তে ক্লিক করে data wipe করুন তারপর uninstall এ ক্লিক করে uninstall করুন দেখবেন your-freedom uninstall হয়ে গেসে।
fdsf
এবার your-freedom আবার ইনস্টল দিন আবার আগের মত করে সেটিং করু কিন্তু এবার অন্য একাউন্ট দিবেন । এর জন্য আপনাকে your-freedom এ অনেক গুল একাউন্ট খুলতে হবে।।
এরপর আবার shop এ গিয়ে free তে ক্লিক করুন দেখুন granted হয়ে গেছে ...OH YeaH Lets roll...
sg
এবার স্পীড দেখুন
gf
554
564
মনে রাখবেন এক একাউন্ট দিয়ে ৩ বার ফ্রী করতে পারবেন... তারপর অন্য একাউন্ট ব্যবহার করলেও হবে না অন্য একাউন্টের জন্য আমাদের প্রতিবার Data clean korte hobe...
কোনো সমস্যা হইলে জানাবে

Tuesday, November 26, 2013

আসল নকল ডিম চিনে নিন


আপনারা অনেকেই হয়ত শুনেছেন নকল ডিমের কথা, অনেকেই হয়ত শুনেননি। প্রথমেই আসি নকল ডিম কি? নকল ডিম হলো রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করে মানুষের তৈরীকৃত ডিম যা দেখতে আসল ডিমের মতই। চায়নায় এগুলো ডিমের পরিপূরক হিসেবে তৈরী করা হচ্ছে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।আরো কিছু দেশে এই নকল ডিমগুলো আসল ডিমের সাথে মিশে বাজারে বিক্রি হচ্ছে , আমরাও এই আশংকার বাইরে না । তাই সচেতন হতে হবে সবাইকেই

নকল ডিম তৈরির উপাদানঃ

নকল ডিম তৈরী করা হয় ক্যালসিয়াম কার্বোনেট, রেজিন,এলাম, জিলাটিন, ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড, কালারিং ডাই ও অন্যান্য রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করে। ডিমের খোলস তৈরী করা হয় ক্যালসিয়াম কার্বোনেট, সাদা অংশ তৈরী করা হয় রেজিন,এলাম, জিলাটিন ,ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড  এবং কুসুম তৈরীতে কালারিং ডাই ব্যবহার করা হয়।

আসল নকল ডিম কিভাবে চিনে নিবেনঃ

১.নকল ডিম আসল ডিমের চেয়ে বড় ও খোলস অমসৃন হয় । তাই বড় ডিম দেখে খুশী হবেননা।
 ২. নকল ডিমের কুসুমের রং গাঢ় হয়।
৩. যখন নকল ডমি ভাঙ্গা হয় তখন কুসুম দ্রুত ছড়িয়ে যায় এবং সাদা অংশরে সাথে মিশে যায়।
৪. নকল ডিম ভাজলে কুসুম ও সাদা অংশ পার্থক্য করা যায় না, সিদ্ধ করলেও অস্বাভাবিক দেখা যায়।
বিশেষ দ্রষ্টব্য:
১.নকল ডিমে ব্যবহারকৃত ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড লিভারের এবং বেনজয়িক এসিড ব্রেইনের স্নায়ুর জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
২. খোলস ছাড়া কৃত্রিম ডিম দেখতে কেমন নিচের ছবিতে দেখে নিন।
৩. সোনার ডিমের কথা আমরা গল্পে অনেক পড়েছি, যদিও সোনার ডিম দেয়া হাঁস/ মুরগী নেই কিন্তু সোনার ডিম আছে।

Sunday, August 18, 2013

স্মার্ট ফোন নিয়ে যত কথা

আসসালামু আলাইকুম , কেমন আছেন সবাই।আশা করি ভালোই আছেন এটা আমার প্রথম টিউওন তাই ভুল হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।আপনাকে যদি জিজ্ঞেস করা হয় মোবাইলফোন এবং স্মার্টফোনের মাঝে পার্থক্য কি তাহলে আপনি কি উত্তর দিবেন?? আপনার উত্তর হয়তো হবে মোবাইল ফোন শুধু যোগাযোগের জন্য ব্যবহার করা হয় তবে স্মার্টফোনে হলো যোগাযোগের সাথে আরো বহুমুখী ব্যবহার।বর্তমান বিশ্বে স্মার্টফোন নিয়ে চলছে তুমুল প্রতিযোগিতা।কে কার থেকে ভালো স্মার্টফোন বানাতে পার!! আজকে আমার টিউনটা এই স্মার্টফোন নিয়েই

স্মার্টফোন কি?
চলুন প্রথমেই জেনে নেই স্মার্টফোনের আসল সংজ্ঞা কী? সহজভাষায় বলতে গেলে স্মার্টফোন হচ্ছে এমন এক ধরণের মোবাইল ফোন যা  যা কম্পিউটিং সুবিধা সহ একটি মোবাইল অপারেটিং সিস্টেমে চলে এবং সাধারণ মোবাইল , অপারেটিং সিস্টেমে চলে এবং সাধারণ মোবাইল থেকে বেশি ফিচার সমৃদ্ধ।মোবাইল ফোনের সাথে personal digital assistant (PDA) যুক্ত করে প্রথম স্মার্টফোন তৈ্রি করা হয়।পরবর্তিতে পোর্টেবল মিডিয়া প্লেয়ার,ভিডিও প্লেয়ার, জিপিএস নেভিগেশন ইত্যাদি বহূমূখী ব্যাবহার যুক্ত করা হয়েছে।বর্তমানের স্মার্টফোনে আছে হাই রেজুলেশন টাচস্ক্রীন এবং ব্রাউজার যার মাধ্যমে বিভিন্ন মোবাইল অপটিমাইজড সাইট গূলো খুব সহজে দেখা যাচ্ছে।
স্মার্টফোনের অপারেটিং সিস্টেম
এরপর আসা যাক এর অপারেটিং সিস্টেম এ।স্মার্টফোন কোন না কোন অপেরাটিং সিস্টেমের মাধ্যমে চলে।এর মধ্যে গুগলের এ্যন্ড্রয়েড,আপেলের iOS ,নোকিয়ার Symbian ,স্যামসাং এর Bada ,মাইক্রসফটের Windows Phone ইত্যাদি জনপ্রিয়।আর ভবষ্যতে আমরা আরো কিছু স্মার্টফোন অপেরাটিং সস্টেম দেখতে পাবো যেমন ফায়ারফক্সের অপেরাটিং সিস্টেম,উবুন্টু এবং টাইযেন।
বর্তমানে আপেলের অপেরাটিং সিস্টেম আই ও এস এর  সাথে সাথে গুগোলের এ্যন্ড্রয়েড বেশ এগিয়ে আছে।এর প্রধান কারণ হল এ্যন্ড্রয়েড হল অপেন সোর্স  যার ফলে অন্যান্য স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এটি ব্যাবহার করা শুরু করেছে।
অ্যাপলিকেশন স্টোর



প্রথম অ্যাপলিকেশন স্টোর তৈরি করে আপেল ২০০৮ সালের জুলাই মাসে যাকে বলা হয় Apple App Store ।এর পর পরই ২০০৮ সালের অক্টোবার মাসে গুগোল বের করে এ্যন্ডয়েড মার্কেট।RIM বের করে BlackBerry App World ২০০৯ সালের এপ্রিল মাসে।নোকিয়ার Ovi Store বের করা হয় মে ২০০৯ সালে।এরকম আরো কিছু অ্যাপলিকেশন স্টোর আছে।



আজ এটুকুই , পরে এই বিষয় নিয়ে আরো পোস্ট দেয়ার চেষ্টা করব।পোস্টটী ভালো লাগলে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন । সবাই ভালো থাকবেন

:: মোবাইলের নানা প্রকার স্ক্রীন সম্পর্কে জেনে নিন ::

আশা করি সবাই ভালো আছেন  :)
মোবাইলের বিজ্ঞাপনের সময় আমরা দেখি যে সেখানে মোবাইলের স্ক্রীন টাইপ লেখা রয়েছে। কিন্তু আমরা অনেকেই এই স্ক্রীন টাইপ সম্পর্কে তেমন একটা জানি না। তাই আজ আমি আপনাদের মোবাইলের বিভিন্ন ধরনের স্ক্রীনের নাম ও তাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি। নতুন মোবাইল যারা কিনতে চাইছেন তারা জেনে রাখতে পারেন। আশা করি কাজে লাগবে।
TFT LCD Display :
এটি সবচেয়ে বেশি প্রচলিত স্ক্রীন টাইপ। পুরানো মডেলের মোবাইলগুলো থেকে শুরু করে কম বাজেটের স্মার্টফোনগুলোতেও এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। TFT এর পুর্নরুপ হলো Thin Film Transistor Technology. আর LCD এর পুর্নরুপ হলো Liquid Crystal Display.
খারাপ কোয়ালিটির TFT LCD ডিসপ্লে যুক্ত মোবাইলে রঙ ফ্যাকাশে দেখাবে এবং স্ক্রীনের সাইড দিয়ে তাকালে অন্ধকার দেখা যাবে। ভাল কোয়ালিটির স্ক্রীন বেশি উজ্জ্বল হবে আর যেকোন দিক দিয়ে তাকালেই মোটামুটি পরিস্কার দেখা যাবে।
সূর্যের আলোতে এই স্ক্রীনে পরিস্কার দেখতে অসুবিধা হয়। এ ধরনের ডিসপ্লেতে ব্যাটারীর খরচ বেশি হয় তবে এটি তৈরী করা যায় অনেক সস্তায়। তাই কম ও মাঝারী দামের সেটের এই ডিসপ্লে বেশি ব্যবহার করা হয়।
IPS LCD Display:
IPS এর পুর্নরুপ হলো In-Plane Switching. এটি TFT LCD Display থেকে উন্নত। এই স্ক্রীনের ডিসপ্লে কোয়ালিটি ভালো এবং ব্যাটারী কম খরচ হয়। এটি সাধারন LCD থেকে বেশী দামের বলে বেশী দামের স্মার্টফোনগুলোতে ব্যবহার করা হয়।
OLED Display:
OLED এর পুর্নরুপ হলো Organic Light Emitting Diode. এটি LCD থেকে ভালো কোয়ালিটির মোবাইল স্ক্রীন। এই ডিসপ্লে অনেক উজ্জ্বল,কৌনিক দিক থেকে সহজেই দেখা যায় এবং বেশ হালকা।
AMOLED Display:
AMOLED এর পুরোটি হলো Active Matrix Organic Light Emitting Diode. এই ডিসপ্লের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো পিক্সেলগুলো নিজ থেকেই আলো তৈরী করতে পারে যার কারনে আপনি সূর্যের আলোতেও কোন সমস্যা ছাড়াই দেখতে পারবেন। OLED স্ক্রীনের মতই এর ডিসপ্লে অনেক উজ্জল,শার্প এবং হালকা। হাই কোয়ালিটির স্মার্টফোনগুলোতে এই স্ক্রীন এখন অনেক ব্যবহার করা হয়।
Super AMOLED Display:
এটি AMOLED ডিসপ্লে এর আধুনিক ভার্সন। স্যামসং এর গ্যালাক্সী স্মার্টফোনগুলোতে ব্যবহার করা হয়। এই ডিসপ্লে সবচাইতে হালকা ডিসপ্লে। এবং ব্যাটারীর খরচও আগের থেকে কম হয়।
Super LCD (SLCD):
এটি LCD স্ক্রীনের আধুনিকতম সংস্করন। এই ডিসপ্লেতেও সূর্যের আলোতে সহজেই দেখা যায়। এছাড়াও AMOLED স্ক্রীন থেকে রঙ আরো ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারে।
Retina Display:
এই স্ক্রিনটি শুধুমাত্র আইফোনে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এর নাম রেটিনা ডিসপ্লে বলা হয় কেননা মানুষের সাধারন চোখ দিয়ে পিক্সেলগুলোকে আলাদা করা বোঝা সম্ভব নয়। এর ছবির কোয়ালিটি,শার্পনেস খুবই উন্নত মানের।
Gorilla Glass:
গরিলা গ্লাস হলো alkali-alluminium যৌগের তৈরী শক্ত ও মজবুত ডিসপ্লে। এটি আপনার মোবাইলের স্ক্রীনকে দাগ,আচড়,ঘষা-মাজা এমনকি হাতুরীর শক্ত আঘাত থেকেও রক্ষা করবে। বর্তমানে Corning কোম্পানীর গরিলা গ্লাস বেশিরভাগ স্মার্টফোনে ব্যবহার করা হয়।
Resistive Touchscreen:
এ ধরনের টাচস্ক্রীনে পর্দায় দুটি স্তর থাকে। প্রথম ও ২য় স্তরের মাঝে ফাকা স্থান থাকে। প্রথম স্তরে চাপ পড়ার ফলে মাঝের ফাকা অংশটি বেকিয়ে গিয়ে ২য় স্তরে চাপ পড়বে। এবং তারপর মোবাইলের প্রসেসরে সংকেত পাঠাবে। আর এভাবেই এই টাচ কাজ করে।
Resistive Touchscreen আঙ্গুল বাদেও যেকোন কিছু দিয়ে টাচ করে ব্যবহার করা যায়। এতে স্ক্রীনে বেশি চাপ দিতে হয় এবং মাঝে মাঝে ঠিক জায়গামত চাপ পড়েনা। স্টাইলাস ব্যবহারের জন্য এই স্ক্রীন উপযোগী।
 
Resistive Touch যেভাবে কাজ করে থাকে
Capacitive Touchscreen:
এ ধরনের টাচ স্ক্রিনে শুধুমাত্র মানুষের হাতের স্পর্শের মাধ্যমেই কাজ করা যায়। এটির ডিসপ্লেতে স্পর্শ করার সাথে সাথেই ইলেক্ট্রোস্টাকিক ফিল্ড তৈরী হয় এবং দ্রুত প্রসেসরে সিগনাল পৌছানোর মাধ্যমে কাজ করে।
Capacitive Touchscreen বেশি দামের আধুনিক স্মার্টফোনগুলোতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এটি ব্যবহার আরামদায়ক। তবে মানুষের আঙ্গুল বা অংগ ব্যাতিত অন্য কিছু দিয়ে টাচ করা যায়না।
আজ এ পর্যন্তই রইলো। আমার পোস্টটি কেমন হয়েছে জানাবেন। কোন ভুল থাকলে কমেন্টে বলবেন।

Facebook Twitter Delicious Digg Stumbleupon Favorites More

 
Design by Free WordPress Themes | Bloggerized by Lasantha - Premium Blogger Themes | Bluehost Review